পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৪৪টি আবাসিক ভবনের ৫৩টি ভবন বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য ঘোষণা করা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো অনেকে স্বপরিবারে ওইসব ভবনে বসবাস করছেন। পরিত্যক্ত এসব ভবন সংলগ্ন আবাসিক এলাকার বসতিরা ভবন ধসে পড়ার অজানা আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালীকে মহাকুমা থেকে জেলায় রুপাস্তরিত করা হয় দেশের অন্য ১৮টি জেলার মতো। জেলা হেড কোয়াটার নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগ দায়িত্ব পায়। সেই থেকে সিঅ্যান্ডবির তত্ত্বাবধানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসস্থান জন্য এ টাইপ, বি ও সি টাইপ নামক আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হয়। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে ভবনগুলোর অবস্থান। সরকারি এসব ভবনের মধ্যে এ টাইপ ক্যাটাগরির ৩২টি ভবনের ২৪টি, বি টাইপ ভবনের ৭২টির মধ্যে ১৭ ও ৪০টি সি টাইপ ভবনের ১২টি ভবন বসবাসের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আর এসব পরিত্যক্ত ভবনগুলো রাতের বেলায় অপরাধীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়। তবুও নিম্নশ্রেণির কর্মচারীরা ওইসব ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় দিন পার করছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফকির মিসকিনও এই গ্রামোত আসপের চায় না’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বি টাইপের একটি জরাজীর্ণ ভবনে বসবাসরত একজন কর্মচারী জানান, তিনিসহ অধিকাংশই অনুমতি ব্যতিত বসবাস করছেন। বহু আগেই ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী ও কর্তৃপক্ষের ঝুকিপূর্ণ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হলেও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দিন পার করছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের একজন রাখাল সাহা জানান, দিন যায় ভালো কিন্তু রাতটি প্রতিনিয়ত আতঙ্ক নিয়ে পার করতে হয়। যেকোন সময় ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তিনি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অনেক আবাসিক বসতিদের মধ্যে এই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরকারিভাবে প্রতি বছর আবাসিক ভবনগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ না থাকায় গণপূর্ত বিভাগ অসহায় হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাণহীন জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরি!
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ জানান, জরাজীর্ণ ভবনগুলোকে শিগগিরই নিলাম করা হবে। আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এর মধ্যে ১০তলা বিশিষ্ট সাতটি বহুতল আবাসিক ভবনের নকশা প্রস্তুত করে স্থাপত্য অধিদপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।